স্ত্রীর ছোট ছোট ভুলেই স্বামীর মনে অভিমানের পাহাড় বাড়ে। একে অপরের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে। মহিলারা অভিযোগ করেন যে, স্বামীর তাঁর প্রতি কোনও টানই নেই। কিন্তু কেন এমন হয়? জেনে নিন বিস্তারিত

ওয়ার্ড্রোব রিফ্রেশ সেল- 50% থেকে 80% ছাড় পাবেন পোশাক, জুতো, লাগেজ এবং আরও অনেক কিছু
করে গোড়া তোলার জন্যে দুজনকেই যথেষ্ট এফর্ট দিতে হয়। পরস্পরকে সম্মান করা, ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি একে অপরের স্বপ্নের সঙ্গী হওয়াও প্রয়োজন। দাম্পত্যের সুখের চাবিকাঠিই হল বোঝাপড়া। তবে সব দিকে খেয়াল রাখার পরেও বহু স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

অনেক মহিলাই এই অভিযোগ করেন যে, হঠাৎ করে স্বামীর মধ্য়ে পরিবর্তন লক্ষ করছেন। তাঁর স্বামী যেন সম্পর্কের প্রতি নির্লিপ্ত হয়ে পড়ছেন। এমনকী নিজের স্ত্রীর উপরেও আগ্রহ হারাচ্ছেন। কোন কারণে এমন হয় জানেন? আপনিও যদি এরকম পরিস্থিতিতে থাকেন, তবে এই প্রবন্ধটি অবশ্যই পড়ুন। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য – istock)

➤ দূরত্ব বাড়ার কারণ কী?

প্রত্যেক পুরুষই নিজের স্ত্রীকে সুখে রাখতে চান। তাঁর ভালো-মন্দের খেয়াল রাখেন। স্বপ্নপূরণের সঙ্গী হতে চান। স্ত্রীর থেকেও তাঁদের কিছু আশা থাকে। কিন্তু সেই আশা ভঙ্গ দিনের পর দিন অভিমানের পাহাড় বাড়তে থাকে। এক সময়ে সম্পর্কের প্রতিও নির্লিপ্ত হয়ে পড়েন পুরুষেরা।

মুখ ফুটে কিছু না বললেও মনে মনে খুবই দুঃখ পান। স্ত্রীরা হয়তো নিজের ভুলটা বুঝতে পারেন না। কারণ, অজান্তেই এই ভুলগুলি করে ফেলেন তাঁরা। আপনিও এই ভুলগুলিই করছেন না তো?

প্রধানত ৩ কারণেই স্ত্রীর থেকে মুখ ফেরান পুরুষেরা। সেগুলি হল –

সময়ের অভাব

​দাম্পত্যে সুখ ভরিয়ে রাখার জন্য়ে একে অপরকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। চাকরি জীবন সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের সামঞ্জস্য রেখে চলা প্রয়োজন। অধিকাংশ সময়েই পুরুষেরা এই অভিযোগ করে থাকেন যে, স্ত্রী অফিসের কাজ নিয়ে এতটাই ব্য়স্ত থাকেন যে একদমই সময়ই দেন না। এমনকী বাড়ি আসার পরেও সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকেন। দুজনে আলাদা করে সময় কাটাতে পারেন না। এর থেকে বেরিয়ে আসার দুটি উপায় আছে।

১) মহিলারা অফিসের কাজ এবং সংসারের যাবতীয় কাজ সামাল দেওয়ার পরেও নিজেদের জন্যে কিছু সময় জমিয়ে রাখুন।
২) ঘরের কাজও দুজনে মিলে করুন। তাহলে একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও মিলবে। বন্ধন আরও মজবুত হবে।

ব্যক্তিগত পরিসর না থাকা

অনেক পুরুষের অভিযোগ যে, তাঁদের স্ত্রীরা ব্যক্তিগত পরিসর সম্পর্কে অবগত নয়। স্বামীর ব্যক্তিগত পরিসরে তাঁরা হস্তক্ষেপ করেন। ফলে, বিয়ের পর নিজের জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে যান পুরুষেরা। বারবার স্ত্রীকে বুঝিয়ে কাজ না হলে একসময় সম্পর্কের প্রতিও নির্লিপ্ত হয়ে পড়েন।

তাই একথা মনে রাখা প্রয়োজন যে, সম্পর্কে দুজন সঙ্গীরই একে অপরের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করা প্রয়োজন। নাহলে নিজেদের মধ্য়ে অশান্তি বাড়তে পারে। তাতেই দেখবেন সম্পর্কের ভিতে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা কমবে। সুখের হবে আপনাদের সাংসারিক জীবন।

অশান্তির মধ্য়ে বেফাঁস কথা

রাগের মাথায় আমাদের কথার ঠিক থাকে না। যুক্তি দিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারি না। সেই সময়ে ভুলভাল কথা বলে ফেলি। প্রত্যেক দম্পতিকেই এই পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হয়। আপনিও সেদিকে খেয়াল রাখুন।

আপনি ঝগড়ার মধ্য়ে এমন কোনও কথা স্বামীকে বলবেন না, যা তাঁর মনে আঘাত দিতে পারে। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকুন। পুরুষেরা এই বিষয়টি অপছন্দ করেন। আপনি রেগে গেলে কিছুক্ষণ সময় শান্ত থাকুন। তারপর কথা বলুন।